পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তার। আর এসব হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন উপজেলার রোগীরা।
পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, অর্শ, আমাশয়, পাইলস, মহিলাদের নানা রকমের জটিল রোগসহ যৌন রোগের ওষুধ পর্যন্ত ও দিতে সক্ষম ওই সকল হাতুড়ে ডাক্তাররা। নিয়ম লংঘন করে তারা কার্ড ও প্যাডে নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দটি বসিয়েছেন। কেউ লিখেছেন ‘অভিজ্ঞ’, আবার কেউ লিখেছেন বিশেষজ্ঞ। সাথে সাথে লাগিয়েছেন নানা ডিগ্রি। অথচ এদের কারো পেশাচর্চার অনুমোদন নেই।
তথ্য মতে, কমপক্ষে এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি) বা বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) ডিগ্রি প্রাপ্তরা ব্যতীত কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না। অথচ অনেকেই তাদের ব্যবহৃত প্রেসক্রিপশন প্যাডে নামের আগে ‘ডাক্তার’ ডিগ্রি লাগিয়ে রোগীদের জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আল-আমিন হোসেন বলেন, প্রায় সব গ্রামেই প্রশিক্ষণবিহীন হাতুড়ে চিকিৎসকের ছড়াছড়ি। অনভিজ্ঞ এসব চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকসহ অনেক জটিল ওষুধ দেয় গ্রামের রোগীদের। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পরে ওই সব রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম একুশে সংবাদ. কমকে বলেন, এমবিবিএস না হলে নামের আগে ডা. লেখা এবং রোগীকে ব্যবস্থাপত্র লেখার কোনো সুযোগ নেই। যেসব পল্লী চিকিৎসক নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীকে চিকিৎসাপত্র লিখে দিচ্ছে খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :