অতিরিক্ত বালুভর্তি ৬ চাকার ট্রাক ব্রিজ পারাপারের সময় ট্রাকসহ ব্রিজ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। ২০২০ সালের জুনের দিকে এ ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে। ভেঙ্গে যাওয়ার সাড়ে তিন বছর পার হলেও এলাকার দূর্ভোগ লাগবে এখনও নির্মান করা হয়নি।শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়গাঁও ইউনিয়নের উত্তর আন্ধারুপাড় চেল্লাখালী নদীর জোড়ার উপর প্রায় ২০ বছর পূর্বে নির্মান করা হয় এই ব্রিজটি।
ভেংগে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে পোড়াগাঁও ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ। যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সেতুটি পূন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভুগি এলাকাবাসী।
খুজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার খলচান্দা কোচপাড়া গ্রাম, আন্দারুপাড়া, বুরুঙ্গা ও বারমারী এলাকায় লোকজনের যাতায়াতের জন্য ২০০০ সালের দিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালে বালু বোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজ পার হওয়ার সময় ঐ সেতুর একাংশ ভেঙে গিয়ে দেবে যায়।
সংস্কারের অভাবে সেতুটি এখন ভেঙে পড়ে আছে। বন্ধ রয়েছে মটর সাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। ভুক্ত ভূগি গ্রামবাসীরা জানান, সেতুটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় পরিবহন ব্যায় বেড়ে দ্বীগুন হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য সিমান্ত রক্ষিদের চলাচলে বিগ্নঘটছে। চেয়ারম্যান তার ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পায়ে হেটে চলাচলের জন্য অস্থায়ী ভাবে একটি সাকু নির্মণ করে দিয়েছে। তাদিয়ে কোনভাবে হেটে চলাচল করা যাচ্ছে।
স্থানিয় বাসিন্দা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, ব্রীজটি ভেংগে যাওয়ায় উতপাদিত কৃষি ফসল, রুগী, শিক্ষার্থী, মটরসাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন নিয়ে যাতায়াতের জন্য বটতলা হয়ে ভাঙগাচুড়া রাস্তাদিয়ে প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। খলচান্দা গ্রামের রঞ্জিত কোচ বলেন, এই সেতু দিয়ে
পোড়াগাওঁ ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করতেন। সাড়ে তিন বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না থাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন, সিমান্ত বাসীর নিরাপত্তা ও দূর্ভোগের কথা চিন্তাকরে নিজ তহবিল থেকে অস্থায়ীভাবে একটি সাকু নির্মাণকরে দিয়েছি। ব্রীজটি দ্রুত নির্মণকরা সময়ের দাবি হয়ে ওঠছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতুর বিষয়ে নির্মানের বরােেদ্ধর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে
কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে দরপত্র আহবান করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :