AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রির ধুম

শ্রীমঙ্গলে ভ্যানে-ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা


Ekushey Sangbad
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
০৯:৩৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
শ্রীমঙ্গলে ভ্যানে-ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে মৌসুমি পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্রীমঙ্গল শহর ঘুরে দেখা যায় মোড়ে মোড়ে বসছে মৌসুমি পিঠার দোকান। এসব দোকানে মিলছে চিতই, ভাপা, তেলে ভাজা পিঠাসহ  নানা ধরনের পিঠাপুলি। ক্রেতাদের মধ্যে বেশি চাহিদা রয়েছে চালের গুড়োর সাথে গুড় ও নারিকেল মিশিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার। ভোজনরসিকদের তৃপ্তি মেটানোর পাশাপাশি বিক্রেতাদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা

সরেজমিন শহরের চৌমুহনা, হবিগঞ্জ রোড, কলেজ রোড, স্টেশন রোড, আরামবাগ, ভানুগাছ রোড, সাগরদিঘী রোডসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা যায় বিক্রেতারা ভাসমান পিঠাপুলির দোকানের পসরা সাজিয়ে পিঠা বিক্রয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি পিঠার দাম রকম ভেদে নেয়া হচ্ছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। ভোজনরসিকরা কেউ তরল গুড় দিয়ে চিতই পিঠা খাচ্ছে আবার কেউ খাচ্ছে সরিষা, সিদল চাটনি কিংবা কাচা মরিচের চাটনির মিশ্রণ দিয়ে।

কথা হয় চৌমুহনাস্থ উত্তরা বাংকের নিচে ভ্যান গাড়িতে পিঠা বিক্রেতা রাসেল আহমদ এর সাথে। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করছি। প্রতি পিস ১০ টাকা মূল্যে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪৫০ পিস চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে। পিঠা খেতে আসা রাকিব নামে এক ক্রেতা বলেন, ঠান্ডার মধ্যে পিঠা খেতে ভারী মজা লাগছে।

শহরের কলেজ রোডস্থ শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে পিঠা বিক্রি করেন শহরের বিরাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদির। তিনি কয়েক বছর ধরে প্রত্যেক শীত মৌসুমে একই স্থানে পিঠা বিক্রি করছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত বাড়ায় পিঠা বিক্রিও বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৭০০ পিস পিঠা বিক্রি হচ্ছে। পিঠা বিক্রি করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে বলে তিনি জানান।

শহরের হবিগঞ্জ রোডে ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করছেন শহরতলীর পশ্চিম ভাড়াউড়ার বাবলু মিয়া। তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, শীত মৌসুমে ফুটপাতে বসে দৈনিক ৪০০ থেকে ৬০০টি পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

শহরের স্টেশন রোডে ভ্যান গাড়িতে চিতই, ভাপাসহ নানা ধরণের পিঠা বিক্রেতা মাসুক মিয়া ও আব্দুল কাদির জানান, এবারের শীত মৌসুমে বেচাকেনা মোটামুটি ভালো হচ্ছে। পুরো শীত আসলে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে তাদের বিশ্বাস। তারা বলেন, দৈনিক ৬০০-৮০০ পিছ পিঠা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।


একশে সংবাদ/এ.ম.প্র/জাহা

Link copied!