পশু- পাখির সাথে নিবিড় সম্পর্ক সকলের হয় না, তবে যাদের হয় তারা এসব পশুপাখিকে ছেড়ে থাকতেই পারে না। প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিটা মূহুর্তে পশুপাখির সাথে জড়িয়ে পড়েন।
পশুপাখিকে ভালোবাসে এমন একজন মানুষ বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামের সুমন রাফি। পথে পথে ঘুরে পথের বিভিন্ন ধরনের পাখি, হনুমান, বানর, কুকুরদের খাবার দেন নিজ খরচে পশু-পাখিকে।
এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন রাফি বলেন, সৃষ্টির সেবাই শ্রষ্টার ইবাদত। আত্মতৃপ্তির জন্যই তিনি পাখি, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের ভালবাসেন। পাখি যখন আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন তাঁর খুব ভাল লাগে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মানুষের মত সব প্রাণির বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
জীববৈচিত্র রক্ষায় তাঁর পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিবেশ, প্রকৃতি, জলবায়ুর ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে প্রকৃতির প্রাণ জীববৈচিত্র পাখি-বন্যপ্রাণি এদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। প্রকৃতি বাঁচলে মানুষও বাঁচবে। তিনি বলেন, কোনো প্রাণীই সামান্য নয়, শুধু জৈব প্রবৃত্তি পূরণের জন্য মানুষের জীবন নয়। পশু-পাখি, গাছপালা ও মানুষ মহান আল্লাহর ঐশী নিয়মে এক অখণ্ড সূত্রে নিবদ্ধ। আমাদের প্রতিটি ঘরবাড়ি যেন হয় পশু, পাখির জন্য পরম মমতায় ভরা ভুবন, নির্ভয় আবাসন।আরও বলেন, যতদিন সামর্থ আছে, অবলা পশু পাখির সহযোগিতা করে যেতে চান।
স্থানীয়রা বলছেন, সুমন রাফি মানবিক কাজের সাথে জড়িত শুধু পশু পাখির দিকে লক্ষ রাখেন না,মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দান, অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে ঔষধ কিনে দেওয়া, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই কিনে দেওয়া, পঙ্গুকে হুইলচেয়ার কিনে দেওয়া,অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে গরম বস্ত্র বিতরণ করা সহ বিভিন্ন মানবিক কাজে এগিয়ে রাখেন সুমন রাফি।
একুশে সংবাদ/স.চ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :