নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার উদ্যোগে ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ডিসেম্বর) দুপুর১২টায় ইটাখোলা হাইওয়ে থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ইটাখোলা হাইওয়েও সিমোঃ ইলিয়াস হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, শিবপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুল শেখ (মানিক), জেলা বাস মালিক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জাকির মৃধা, ইটাখোলা বাজার কমিটির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা কাওছার, স্থানীয় আওয়ামী নেতা আমজাদ হোসেন, সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র সহ আরো মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল রহমান চৌধুরী বলেন, ইটাখোলা বাসষ্ট্যান্ডের বিষয়ে যত অভিযোগ রয়েছে পরিবহন মালিক, কর্মকর্তাদের সে সমস্ত বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করা হবে এবং ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে কোনরকমের ৩ চাকার যানবান চলাচল করতে পারবে না। এক্ষেত্রে মালিক ও পরিবহন কর্মকর্তা এবং আমাদের পুলিশের সম্মিলিত উদ্যোগে একটি নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব মহাসড়ক তৈরী করা
হবে।
এদিকে এক ইজিবাইক চালক জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আমরা কোনভাবেই ইজিবাইক নিয়ে উঠতে পারি না। যদিও কেউ ভুলবশত: হাইওয়েতে ইজিবাইক নিয়ে উঠে তাহলে পুলিশ আমাদের সাথে অত্যন্ত নম্র ভদ্র ব্যবহার করে গাড়িটি নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।
অন্য এক রিকশা চালক মোসলেম বলেন, ইটাখোলা হাইওয়ে এলাকায় বিগত সময়ে যে হাইওয়ে অফিসার ছিলো তার অত্যাচারে আমরা খুবই অতিষ্ঠ ছিলাম। বর্তমানে ইলিয়াস স্যার আসার পর ইটাখোলা হাইওয়ে থানাটি এখন খুব শান্তিপূর্ন ভাবে চলছে। আমরা সাধারন রিক্সাচালকরা এখন শান্তিতে আছি। পূর্বে আমাদের গাড়ি আটক করা হলে ২ হাজার ৭ শ’ টাকা উৎকোচ দিয়ে গাড়ি ছাড়াতে হতো এখন
গাড়ি আটক হলেও আমাদের কোনপ্রকার হয়রানি না করে হাইওয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্বে আমাদের গাড়ি কোনপ্রকার উৎকোচ ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ট্রাক ও মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের শ্রমিকপক্ষ হতে সকল ধরনের সহযোগিতা পুলিশ ভাইদেরকে করা হচ্ছে। আরও কোন ধরনের সহযোগিতা করতে হলে আমরা এগিয়ে আসবো।
ইটাখোলা হাইওয়ে ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমার থানাটি সকল শ্রমিকদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত রয়েছে। যে কোন মূহুর্তে তাদের সকল ধরনের সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমার অধীনস্থ কোন পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা জনগনের হয়রানী করা হলে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ।
এসময় একটি র্যালী থানার প্রাঙ্গন হতে বের হয়ে ইটাখোলার গোলচত্ত্বর হয়ে পুনরায় থানায় এসে সমাপ্ত হয়।
একুশে সংবাদ/স.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :