সবুজ পাতার ফাঁকে মাথা উচু করে ডাকছে হলুদ পাপড়ি, সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের আলপনা আঁকা। মাঠে মাঠে হলুদ ফুলে মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছির গুন গুন শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষার বির্স্তীণ মাঠ। সেই মৌমাছি থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌয়ালরা। দূর থেকে অতিথিদের হাত বাড়িয়ে ডাকছে সেই হলুদ ফুলের মাঠ।
প্রাকৃতির এই মনোরম দৃশ্য মন কারছে দুর দুরান্ত থেকে আসা অতিথিদের। হলুদ সরিষা ক্ষেতে ছবি তুলছেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। আর সেই সরিষার ফুলে ফুলে ডুলছে কৃষকের স্বপ্ন। এমনই এক অপরুপ রুপে সরিষার হলুদ ফুলে সেজেছে নাটোরের গুরুদাসপুর অধ্যুষিত চলনবিলের অবারিত সরিষার মাঠ।
চলনবিলে এ বছর প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গুরুদাসপুরে সরিষা চাষ হয়েছে ১ হাজার ১১৫ হেক্টর। গত বছর উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৯৮০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে গিয়ে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মৌচাষীদের মধু আহরণের দৃশ্য। সারিবদ্ধভাবে সরিষার ক্ষেতের পাশে ফাঁকা জায়গায় রাখা হয়েছে মধু সংগ্রহের বাক্সগুলো। প্রতিটি বাক্স সরিষা জমিতে এক সপ্তাহ করে রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি বাক্স থেকে ৫-৭ কেজি মধু পাওয়া যায়। বর্তমানে চলনবিলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক মৌচাষী মধু সংগ্রহ করছেন। উপজেলার পোয়ালশুরা গ্রামের কৃষক শাহিন আলী বলেন, এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিচ্ছি নিয়মিত। জমিতে কোনো পোকা-মাকরের আক্রমন হয় নি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো এবং লাভবান
হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, বাজারে ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ১৩৫ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি চাষে পরাগায়ণের মাধ্যমে ১৬-২০ ভাগ বেশি ফলন হয়ে থাকে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :