চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের’ সক্ষমতা বাড়াতে যুক্ত হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই ৯টি কুকুরের মধ্যে ৫টি বিস্ফোরক এবং ৪টি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। স্কোয়াডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে-নাইন ইউনিট।
আজ(৩১ ডিসেম্বর) রবিবার নগরীর মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ‘কে- নাইন ইউনিট’ এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ থেকে বলা হয়েছে, কে- নাইন ইউনিটে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। তারা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। প্রশিক্ষিত ৯ কুকুর নিয়ে সিএমপির ‘ডগ স্কোয়াড’, পারদর্শী—বিস্ফোরক-মাদক শনাক্তে।
নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই ৯টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। এই ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জানা গেছে, কুকুরগুলো বাংলাদেশে আনা হয় গত বছর। অবকাঠামো না থাকায় এতদিন সেগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াডের’ সঙ্গে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই ৯টি কুকুর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। কুকুরগুলো রাখার জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত ৯টি কুকুর নিয়ে সিএমপির ‘ডগ স্কোয়াড’, পারদর্শী—বিস্ফোরক-মাদক শনাক্তে।
বর্তমানে দেশে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ একাধিক সংস্থা বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছে। অবৈধ মালামাল কিংবা নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন পণ্য শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যাতে কেউ পরিবহন করতে না পারে তা আরও কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে ডগ স্কোয়াড। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বিদেশিদের বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে তাদের যাতায়াত নিরাপদ-নির্বিঘ্ন করতে ডগ স্কোয়াড সময় উপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রামের সচেতন মহল।
উল্লেখ, ১২ জার্মান শেফার্ড ও ১৩ ল্যাব্রাডার নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট ৪০টি কুকুর নিয়ে র্যাবেও ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হওয়ার ২৩ বছর পর চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডগ স্কোয়াড যুক্ত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :