রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ -৯ নান্দাইল আসনে জামানত হারিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট শতাংশ ভোট এবং এর সাথে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যদি হিসাব করে মোট কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ কোনো প্রার্থী না পেয়ে থাকেন তবে নিয়ম অনুযায়ী তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম নৌকা প্রতীকে ৮২ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন ৬৩ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭। এরমধ্যে রোববারের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৫ টি। তারমধ্যে বৈধ ভোট গণনা করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ টি।
এতে জাতীয় পার্টি ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামানত রক্ষার্থে ১৮ হাজার ১৫২ ভোট পেতে হত। সেখানে জাতীয় পার্টির হাসমত মাহমুদ তারিক লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬৭ ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী আবু জুনায়েদ বিল্লাল পেয়েছেন সোনালী আঁশ প্রতীকে ২৭৩ ভোট।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রত্যেক প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ইসি সচিবের নামে ব্যাংকে এ টাকা রাখতে হয়েছিল। এখন আইন অনুযায়ী, এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। সেই হিসেবে নান্দাইলে জামানত হারানো ২ প্রার্থীর কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :