AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
০৪:০৮ পিএম, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে ৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।এর আগে বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শুক্রবারের তুলনায় শনিবার শীত সামান্য বাড়বে। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।এ মাসজুড়েই শীত থাকবে।শীতের অনুভূতি কমবে না।

আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক দিন দরে প্রতিদিনই কিশোরগঞ্জে তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও সূর্যের দেখা মেলেনি কিশোরগঞ্জে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। নিকলীতে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনপদ। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা। একই সঙ্গে কমছে তাপমাত্রা। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিন দিন নিকলী উপজেলার তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে।

রিকশাচাল আনোয়ার মিয়া বলেন,যে কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘনকুয়াশা পড়েছে রিকশা বের করে বিপদে পড়েছি। রিকশা হ্যান্ডেল ধরে রাখতে পারছি না। শরীর বরফ হয়ে যাচ্ছে।

দিনমজুর নাজমুল হোসেন বলেন, এত ঠাণ্ডা কাজে বের না হয়ে কি করি সংসার তো চালাতে হবে। কাজ না করলে বউ বাচ্চাকে কি খাওয়াবো।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। উষ্ণ কাপড় না থাকায় অনেকে খড়কুটো পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কেউবা আশায় বুক বেধে আছেন এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য।

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব ঘোষ বলেন, নিকলী হাসপাতালে গত মাসের চেয়ে এ মাসে ১০ থেকে ১২ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!