মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে সিরাজগঞ্জে জেঁকে বসেছে কনকনে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে সিরাজগঞ্জ জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে আগুন জালিয়ে শীত নিবারণ করছে গ্রামগঞ্জের অসহায় মানুষেরা।
সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে জেলা ও উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম তেমন দেখা যায়নি। তবে এ শীত নিবারণে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে এবং চলাচলে যাত্রী না থাকায় রিকশাসহ ছোটখাট যানবাহন চালকরা শীতের কাপড় জড়িয়ে অবস্থান করছে। এমনকি এ অঞ্চলে কৃষকেরাও মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে এবং অনেক স্থানে আগুনের কুন্ড জ্বালিয়ে এই শীত নিবারণ করছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি বলেন , ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে কচ্ছপগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। তবে দুপুরে কুয়াশা কিছুটা কেটে যাওয়ায় যান চলাচলে গতি বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ জেলায় এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে ঘন কুয়াশা নতুন কিছু নয় এবং এখনও তেমন শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়নি। তবে এ অঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, লালমনিরহাট, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতের প্রভাব বাড়ছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তত্বাবধানে জেলার সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে ইতিমধ্যেই বিতরণ শুরু হয়েছে ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :