দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানাতে (জিপিইউএফএফ) গ্যাস সরবরাহ শুর হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কারখানায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে চালু করা হয় এই সারকারখানাটি। এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘোড়াশাল—পলাশ ইউরিয়া সারকারখানাতে গ্যাস সরবরাহ শুর হয়।
ঘাড়াশাল—পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাজিউর রহমান মল্লিক জানান, গ্যাস সরবরাহ শুর হওয়ায় কারখানাটিতে চলতি মাসের ২৮ তারিখে দিকে সার উৎপাদনে আসবে।
তিনি জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ করে চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্টি্রজ লিমিটেড। ফ্রেবুয়ারি মাসে চীনা ও জাপানি প্রকৌশলীরা ফেরত যাবেন। এর আগে তারা কারখানাটির অপারেটিং সিস্টেম ও পরিচালনা পদ্ধতি বুঝিয়ে দেবেন। গ্যাস সংকটের কারণে যমুনা সার কারখানা বন্ধ করে এখানে গ্যাস সরবরাহ শুর করা হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর পরিবেশ বান্ধব এই সারকারখানাটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের পর গ্যাস সংকট ও কারিগরি জটিলতায় বন্ধ থাকে। এরপর, গতকাল সোমবার পুনরায় এটিতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। কারখানাটিতে দৈনিক ৭২ মিলিয়ন কিউবিসি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে দৈনিক উৎপাদন হবে ২৮০০ টন ইউরিয়া সার, যা বছরে ১০ লাখ টন।
একুশে সংবাদ/স.র.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :