জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু জন্ম নিল এক দরিদ্র অটোরিকশা চালকের ঘরে। আক্রান্ত শিশু উপজেলার ১নং চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা এলাকার তানজিল সাকিলা দম্পতির ২য় সন্তান।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নবজাতক শিশু তার মার কুলে শীতের কাপড়ে মোড়ানো, অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে হতাশার নিশ্বাস ছাড়ছেন শিশুটির মা সাকিলা বেগম (২৯)।
পরে শিশুটিকে দেখতে চায়লে সাকিলা বেগম শিশুটিকে দেখিয়ে বলেন, আমরা গরিব মানুষ এখন আমি কি করমু? কি দিয়ে ডাক্তার দেখামু? আমার এই সন্তানের চিকিৎসা করাতে সরকার ও সকলের সহযোগিতা চাই।
শিশুটির বাবা তানজিল ইসলাম জানান, গতরাত ১২টার দিকে নরামলি ডেলিভারি হয়েছে। জন্মের পরই সবাই দেখে অবাক! আমার ঘরে এটা ২য় সন্তান আমার ঘরে প্রথম একটা আল্লাহ্ ছেলে সন্তান দিয়েছে তার বয়স ১০ বছর, সে সম্পুর্ণ সুস্থ।
আমি গরিব মানুষ পরের যায়গাতে ঘর তুলে থাকি, একটা অটো চালিয়ে কোনরকম ডালভাত খেয়ে চলতেছি এমন অবস্থায় এর চিকিৎসা খরচ কোথায় পাবো? মানুষের সহযোগীতা ছাড়া আমি নিরুপায়। বৃত্তবানদের কাছে আমি সহযোগীতা কামনা করছি।
নবজাতক শিশুটির নাভির নিচে থেকে দু`রানের মাঝ দিয়ে পেছন দিক পর্যন্ত পুরোটা যায়গা জুড়ে টিউমারের মতো গোলাকৃতি বড় একটি মাংসের খন্ড দৃশ্যমান।
এমন বিরল রোগের বিষয়ে উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা সাইফুল জয়ের কাছে মুঠোফোনে জানতে চায়লে উনি আক্রান্ত শিশুটিকে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তৌফিকুল ইসলাম খালেক শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে ঔষুধ বাবাদ খরচা দিতে আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসিমা নিহাতকে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/স.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :