টানা ১৫ দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা মিললো সূর্যের। গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের কোথাও মেলেনি সূর্যের দেখা। তবে বৃহস্পতিবার (১৮জানুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে দেখা মেলে সূর্যের।
এ কয়েকদিন রাতে - দিনে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভূত হয়। শীতে জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা।
সূর্যের দেখা মেলায় শীত কিছুটা কমেবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। জন মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রতি বছর ঠাকুরগাঁওসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে শীত আগাম আসে এবং বেশি অনুভূত হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সন্ধ্যা নামতেই হিমেল হাওয়ার সাথে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় কৃষকরা খেত খামারে কাজ করতে পারেন না। আর অসুস্থ হয়ে ভীড় জমাচ্ছে হাসপাতালে ছোট্ট শিশুদের নিয়ে তাদের পরিবার।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: নাঈম মোঃ মিনহাজ কৌশিক বলেন,
তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।
চাষীদের উদ্দেশ্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজ দীর্ঘ বারদিন পর আজ রোদ উঠেছে। এমন আবহাওয়া থাকলে ধানের বীজতলা, মরিচ, ভুট্টাসহ এসব ফসল আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় আসা শুরু করবে। ঘণ কুয়াশার কারণেই এমন টা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :