ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৩৩টি মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বই পায়নি।
এ ছাড়া এসব মাদরাসার ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতেও রয়েছে বইয়ের স্বল্পতা। বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
এসব মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ বই পাবে, তা জানে না কর্তৃপক্ষও। অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত মাদরাসাগুলোর নবম শ্রেণির ১১টির মধ্যে এসেছে সাতটি বই।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৩টি মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির দুই হাজার ৫৫০ জন, সপ্তম শ্রেণির দুই হাজার ৪৫০ জন, অষ্টম শ্রেণির দুই হাজার ৬৫০ জন এবং নবম শ্রেণির দুই হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল। নবম শ্রেণিতে প্রতি সেটে বইয়ের সংখ্যা ১১টি। অষ্টম শ্রেণির প্রতি সেটের ১৪টির মধ্যে শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে ৯টি, সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই এখনো পায়নি শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাদরাসাগুলোর ষষ্ঠ শ্রেণির এক হাজার ৯০০ জন, সপ্তম শ্রেণির এক হাজার ৭০০ জন, অষ্টম শ্রেণির এক হাজার ৯০০ জন এবং নবম শ্রেণির এক হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছেছে। নবম শ্রেণির ১১টির মধ্যে সাতটি বই এসেছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
অন্যদিকে নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবুল হাসান মো.এনামুল হক বলেন,আমাদের মাদরাসার নবম শ্রেণির ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বই পায়নি। কবে তারা বই পাবে তা-ও বলা যাচ্ছে না।
উপজেলার আচারগাঁও ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই বলেন, এই মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো বই পায়নি। পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে তাদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা হাতে বই না পাওয়ায় তৃপ্তি পাচ্ছে না। বলাও যাচ্ছে না, কবে তারা নতুন বই পাবে।
রাজাপুর বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে ২২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিদিনই তারা মাদরাসায় আসছে। কিন্তু বই না পাওয়ায় খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে তারা।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, সব শ্রেণির চাহিদা মতো বই দেওয়া হয়েছে। তবে দুই-একটি শ্রেণির বইয়ের স্বল্পতা থাকলেও সেগুলো শিগগির পাওয়া যাবে। তবে নবম শ্রেণির বই কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহছিনা খাতুন বলেন, এটা তো আমার বিষয় না। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বই উপজেলাগুলোতে পৌঁছে যায়। ওই উপজেলা থেকে এখনো আমাকে কেউ বিষয়টি জানাননি। এখন খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :