শুক্রবার বিকেল ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীর পারে এ উৎসব শুরু হয়। ‘চলো হারাই শৈশবে’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে ফরিদপুর সিটির আয়োজনে’।
উৎসবে শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। উল্লেখযোগ্য আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা, মাছ, ঈগল, লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি।
ফরিদপুর শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীর পদভারে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে।
ঘুড়ি উৎসবে আসা সোমা রানী নামে এক জন বলেন, এটি অবশ্যই ফরিদপুরের একটি অন্যরকম আয়োজন, এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সব বয়সী মানুষ এক হয়েছে, একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
উৎসবে ঘুড়ি নিয়ে আসা কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল শেখ বলেন, আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে, এক দিনের জন্য হলেও আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে। উৎসবের অন্যতম আয়োজক ‘ফরিদপুর সিটি’ ফেসবুক পেইজের এমদাদুল হাসান বলেন, এ উৎসবে বিজয়ী ২০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবগুলো পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।’
ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরর্শেদ আলম।
উৎসবে অংশ নেওয়া শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ঘুড়ির আকর্ষণীয় উপস্থাপন এবং ঘুড়ি ওড়ানোর দক্ষতার ভিত্তিতে কুড়িজনকে পুরস্কৃত করা হবে। রাতে ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এ আয়োজনের।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :