AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শোধনাগারটি  কোনো কাজেই আসছে না


Ekushey Sangbad
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল
০১:৫৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শোধনাগারটি  কোনো কাজেই আসছে না

নড়াইল পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শোধনাগারটি  কোনো কাজেই আসছে না। প্রায় পাঁচ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে নড়াইলের একমাত্র পানি শোধনাগার। পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পানি শোধনাগারটি এখন কোনো কাজেই আসছে না। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও কোনো সুফল মেলেনি। পৌর কর্তৃপক্ষের বলছে বার বার চেষ্টা করেও নানা যান্ত্রিক সমস্যার কারণে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইল পৌরসভার দুই লক্ষাধিক জনগণের বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটাতে শহরের হাতিরবাগান এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৪ সালে ৩৫০ ঘনমিটার পানি শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পানি শোধনাগার নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে সাত বছর ধরে নির্মাণ করা হয় মেগা প্রকল্পটি। নির্মাণ শেষে ২০১৯ সালে পরিচালনার জন্য পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে জনস্বাস্থ্য। 

এর মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধ পানি পেতে শুরু করে পৌরবাসী। কিন্তু মাত্র তিন মাস পরেই নানা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় পানি শোধনাগারটিতে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বর্তমান মেয়র দায়িত্ব পেয়ে পুবরায় চালু করলেও একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ফের বন্ধ হয়ে যায় এটি। এখন কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই মোটর দিয়ে সরাসরি পানি উঠিয়ে পৌরবাসীর চাহিদা মেটাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। শোধন ছাড়া এই পানি পান ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট রয়েছে পৌরবাসী।

পৌরসভার বাসিন্দা সাধন রবি দাস বলেন, আমাদের এখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। সাপ্লাই থেকে যে পানি আমরা পাই, তা পানযোগ্য নয়। ওই পানি পান করলে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। আমি নিজে অসুস্থ হয়ে সপ্তাহখানেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পানিতে বিশ্রি গন্ধ। এছাড়া গোসলের সময় মাথায় ঢাললে চুল পড়ে যায়।

নড়াইলে পানি শোধনাগারটি অকার্যকর হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

রাসেল বিশ্বাস নামের একজন বলেন, নড়াইলে পানি শোধনাগারটি অকার্যকর হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। কার্যকারী ব্যবস্থা নিয়ে নড়াইলবাসীর পানির কষ্ট দূর করার আবেদন করছি।

কালা দাস ও অনুপ দাস নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, পৌরসভা থেকে বর্তমান যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তা খাওয়ার উপযোগী নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ময়লা থাকে। প্রতিমাসে পৌরসভার ৩০০ টাকা পানির বিল দিয়েও আমার মাসে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার পানি কিনে খেতে হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএম আবু সালেহ  জানান, পানি শোধনাগারটি তৈরি করে চালু অবস্থায় আমরা পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করেছি। এটা তখন চলছিল। এটাকে চালু রাখার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তারা (পৌরসভা) নিয়মিত রিপেয়ার করছে না বলেই হয়ত এটা চলছে না।

নড়াইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, পানি শোধনাগারটি আমার আগের মেয়রের আমলে করা। তখন তিন মাস ভালো সার্ভিস দেওয়ার পর সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আমি আসার পর চেষ্টা করি এটাকে চালু করার। কিন্তু চালু করার অল্প কয়েকদিন পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। আমি যকটুকু বুঝেছি, ওটা রিপেয়ার করলেও আর চলবে না। আমি জনস্বাস্থ্যের প্রধানের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখতে চাই, এটা যদি কিছু করা যায় তাহলে করুন, না হলে নতুন করে পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হোক।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!