রাজশাহীর তানোরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খননের মহা উৎসব। রাতের আঁধারে শতশত বিঘা ফলসী জমি পুকুরে রুপান্তর করা হচ্ছে। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল তানোর উপজেলার কৃষি ভান্ডার চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের শিলপুর জুড়ানপুর ও চাঁন্দুড়িয়া দেউতলা বিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষি জমিতে পুকুর খননের মহা উৎসব। শিলপুর জুড়ানপুর মাঠে প্রায় ১শ বিঘা তিন ফসলী জমি টেন্ডার নিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তিনটি সেভেন ভেকু গাড়ি দিয়ে রাতের আঁধারে লাঠিয়াল বাহিনী পাহারায় রাতারাতি কৃষি জমি পুকুর খনন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন ও রাকিব নামের দুই ব্যাক্তি এপুকুরটি খনন করছেন। তারা দিনে থাকেন না, শুধু রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কাজ করে।
এছাড়াও চাঁন্দুড়িয়া দেউতলা বিলে প্রায় ১৫বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমানের জামাই রাকিব। অথচ উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছে। মনে হচ্ছে তারা কিছুই জানেনা। চাঁন্দুড়িয়া ইউপি বাসীর দাবি, দ্রুত কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করা নাহলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এসব তিন ফসলী কৃষি জমি মালিকের কাছে থেকে বিঘা প্রতি বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় টেন্ডার নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করে পুকুর গুলো খনন করছেন ভূমিদস্যুরা।
অন্যদিকে প্রশাসনের রহস্য জনক ভূমিকায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কৃষি জমিতে পুকুর খননের সিন্ডিকেট বাহিনীরা। তবে মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভেকু গাড়ির ব্যাটারী খুলে আনা হলেও দুই একদিন পরেই তা গাড়ি মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয় পুকুর খনন করতে।
কৃষি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবিদা সিফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর খননের কোন সুযোগ নেই, যদি কোথাও পুকুর খনন করা হয় তাহলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :