নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এছাড়াও এই সীমান্তে একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আবারও গোলাগুলি চলছে; বিস্ফোরিত হচ্ছে মোর্টার শেল।
উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সকালেও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
গত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনো জানা যায়নি।
তুমব্রু সীমান্তের স্থায়ী বাসিন্দা রূপলা ধর বলেন, কিছু দিন ধরে সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে, আমরা যারা স্থায়ী বাসিন্দা আছি, সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছি। তবে সীমান্তে বসবাসকারী অনেকেই ভয়ে নিরাপদে চলে গেছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সারারাত গোলাগুলি হয়। তবে রোববার গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
গত ২৩ জানুয়ারি সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে ২ বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা থেকে গুলির খোসা এসে পড়ে এপারের কয়েকটি গ্রামে। সে সময় এ সব গ্রামের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :