AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কেন্দুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের মারামারিতে কিশোরীসহ ৬ নারী আহত


Ekushey Sangbad
আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা
০৫:৩৭ পিএম, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪
কেন্দুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের মারামারিতে কিশোরীসহ ৬ নারী আহত

জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় দুপক্ষের মারামারিতে উভয়পক্ষের দুই কিশোরীসহ ৬ জন নারী আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, আরতি রাণী (৬০), অনন্ত রাণী (৪৫), মনি রাণী (৩৫), দীপ্তি রাণী (২১) এবং কিশোরী মেলি রাণী (১৫) ও বৃষ্টি রাণী (১৫)। আহতদের মধ্যে মনি রাণী ও অনন্ত রাণী কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন এবং অন্য আহতরাও একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাঘমারা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের সাথে প্রতিবেশী গোপাল চন্দ্র দাস ও তার ভাইদের বিরোধ চলে আসছিল। গত দুদিন আগে বিরোধপূর্ণ ওই জমির কিছু অংশে বোরো ধানের চারা রোপন করে গোপাল চন্দ্র দাসসহ তাদের লোকজন। এরই জেরে বুধবার সকালে রবি চন্দ্র দাসসহ তাদের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে গোপাল চন্দ্রের পক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হলে উভয়পক্ষের ৬ জন নারী আহত হয়। 

গোপাল চন্দ্র দাসের স্ত্রী আহত আরতি রাণী বলেন, আমাদের খরিদকৃত ৩৬ শতাংশ জায়গা রবি চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন ধরে দলিল করে দিচ্ছে না। ওই জায়গা রবি চন্দ্রের বাবার কাছ থেকে ৩০ বছর আগে ক্রয় করে আমরা ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে দলিল করে না দিয়ে ওই জমি রবি চন্দ্র এলাকার মুসলমান লোকজনকে নিয়ে দখলের পাঁয়তারা করছে। বুধবার(৩১ জানুয়ারি) তারা জায়গা দখল নিয়ে চাষাবাদ করতে গেলে আমরা বাধা দেই। এ জন্য স্থানীয় মুসলমান লোকজনকে সাথে নিয়ে তারা আমাদের মারপিট করে। 

তবে রবি চন্দ্র দাসের স্ত্রী আহত অনন্ত রাণী বলেন, তাদের খরিদকৃত জায়গা আমরা গত ফাল্গুন মাসে দলিল করে দিয়েছি। এরপরও তারা আমাদের ৩৬ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। আমরা আমাদের জায়গা দখল নিতে গেলেই তারা বাধা দেয় এবং মারামারিতে জড়ায়। এলাকার মুসলমান লোকজনও তা জানেন। কিন্তু গোপাল চন্দ্ররা কারো কথাই মানেন না। এ জায়গা নিয়ে আমরা আদালতে মামলাও করেছি। 

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতালেও গিয়েছি। মূলত জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।   

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ  

Link copied!