গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আহাদ মোল্লা নামে এক প্রকৌশলীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তিনি ওই বাড়িতে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা আজ বৃহম্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী ওই নারী প্রকৌশলী আহাদ মোল্লার বাড়ির উঠানের পাশে গাছের নিচে অবস্থান করছেন। অভিযুক্ত আহাদ মোল্লা কোটালীপাড়া উপজেলার সিতাইকুন্ড গ্রামের মোস্তফা মোল্লার ছেলে ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকৌশলী বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ওই নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন প্রেম করার পরে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকৌশলী আহাদ মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমরা স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে ঢাকায় বসবাস করতে থাকি। আমাদের বিয়ের খবর দুই পরিবারের মাঝে জানাজানি হলে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর আমাদের সামাজিকভাবে আবারও বিয়ে দেয়া হয়। দ্বিতীয় বিয়ের কিছু দিন পর হঠাৎ করে আহাদ আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি এক বছর যাবত আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন। আমি নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আহাদের বাড়িতে এসে উঠেছি। তিনি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আমি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।’
ভুক্তভোগী ওই নারী প্রকৌশলী আহাদ মোল্লাদের বাড়িতে আসলে তার পরিবারের লোকজন অন্যত্র চলে যায়।
প্রকৌশলী আহাদ মোল্লার প্রতিবেশী নেয়ামুল ফকির ও খলিল শেখ বলেন, ‘প্রকৌশলী আহাদ মোল্লার সঙ্গে সামাজিকভাবে যে বিয়ে হয়েছে, তা আমরা জানি। বিয়ের পর আহাদ মোল্লা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। এখন তাদের মাঝে কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানার জন্য প্রকৌশলী আহাদ মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। আহাদ মোল্লা ঢাকায় থাকায় তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা তিনি রিসিভ করেননি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :