চলতি বছরের শেষে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এর পরের বছর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে দ্বিতীয় ইউনিট। অর্থাৎ পরবর্তী বছরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে দুইটি ইউনিট।
পরমাণু বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জটিল ও দেশের প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে, যা সক্ষমতার নতুন ধাপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রকল্প এলাকায় এরই মধ্যে জ্বালানি চলে এসেছে। কেউ কেউ মনে করেন জ্বালানি আসা মানে সহসাই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আসলে বিষয়টি সে রকম নয়। এখন রি-কমিশনিং স্টেজ চলছে। এরই মধ্য দিয়ে আরো তিনটি ধাপ শেষ করলে বণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে। এর সঙ্গে গ্রিড ও অন্যান্য বিষয়গুলোর কাজ যদি সঠিকভাবে চলতে থাকে, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ট্রায়াল বা পাইলট কমার্শিয়াল অপারেশনে যেতে সক্ষম হবে। আর এটা হলে টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্টের বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির পর এখন কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে দেশের মেগা এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাতা দেশ রাশিয়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, কাজ চলছে সূচিমাফিক। ২০২৫ সালেই পরমাণু বিদ্যুৎ পাবে দেশ। এই ধরনের টেকনোলজি নিয়ে ইলেকট্রিসিটি তৈরি করা, যেটা প্রতিদিনই আমাদের লাগবে, সেটা বেশ কঠিন এবং অনেক বড় কাজ। আর এগুলো গালগপ্পো করার জিনিস নয়। ফুয়েল চলে আসা মানেই আমাদের দেশ এখন অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা এখন বিশ্বের ৩৩তম পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। চলতি বছর ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুইটি ইউনিটে স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। এই রিয়্যাক্টরগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে সক্ষম।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :