আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাত শেষে সকাল সাড়ে ৯টার পর ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায় মুসুল্লিদের ভিড়। মুসল্লিরা হেঁটে নির্ধারিত স্থানে রাখা গাড়ির কাছে যাচ্ছেন। বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, ট্রেন, লঞ্চে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
টঙ্গী স্টেশন রোড, টঙ্গী বাজার, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, মিলগেট, কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, বিমানবন্দর, উত্তরা, দৌড়ব্রিজসহ ইজতেমা ময়দান থেকে বের হওয়ার সব রাস্তায় এখন বাড়িমুখো মানুষের ঢল।
সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও মাথায় বিছানাপত্র। যে যার মাল-সামান নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।
ইজতেমা শেষে বাড়িমুখো মুসল্লি জামালপুরের আহাদ মিয়া বলেন, মোনাজাত শেষ করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। নিজের জন্য ও সব মৃত মানুষের জন্য দোয়া করেছি। এখন ট্রেনে বাড়ি যাব।
কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন রাজশাহীর ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, আমাদের বাস অনেক দূরে। বাসের কাছে হেঁটে যাচ্ছি।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের পাশে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে বসে মোনাজাতে অংশ নেয় আরিফুর রহমান। মোনাজাত শেষে তিনি বলেন, রামপুরা-বনশ্রী থেকে ফজরের নামাজের পর রওয়ানা হয়েছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছেছি। মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এখন বাড়ি ফিরে যাব৷ সকালে আজমপুর পর্যন্ত বাসে আসতে পেরেছি। এরপর থেকে হেঁটে এখানে আসি। এখনে আবার হেঁটে রওয়ানা দেব। গাড়ি পেলে চলে যাব।
এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-আব্দুল্লাহপুর হয়ে উত্তরবঙ্গের সব গাড়ি কামারপাড়া থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মিরের বাজার পর্যন্ত হেঁটে মুসল্লিরা গাড়ির কাছে যাচ্ছেন বাড়ি ফেরার জন্য।
বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে ময়দান ও আশপাশের নজরদারি রাখতে মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। এছাড়াও র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেওয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।
মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের নিরাপদ চলাচলের জন্য ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।
একুশে সংবাদ/ব.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :