খুব ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা ভীষণ পছন্দ তার। সেই থেকেই রঙে রঙে নির্মাণ করতেন নিজের জগত। পাখি, পাখির বাসা, মাছ, গরু-ছাগল, ফুল-ফল এঁকে দেখাতেন। তার রঙের খেলায় প্রাণ পেতো নানান দৃশ্য। দেশীয় চিত্রকলা, এদেশের মাটি, মানুষ, আকাশ, সব কিছুই ফুটে উঠতো তার চিত্রকর্মে।
সেই ছোট ছেলেটি এক সময় বড় হলেন। তার রঙের তুলি আর চিন্তার জগতও বেশ প্রসারিত হলো। বাংলার গ্রামীণ জীবন যেমন তার ছবিতে প্রাণ পেল তেমনি শহুরে জীবনের জরা আর যৌবনও ফুলে উঠলো নিবিড়ভাবে।
বলছিলাম পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চিত্রশিল্পী গোলাম মওলার কথা। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলকতি গ্রামের মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে। ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে তিনি এই পেশায় নিয়োজিত আছেন। ছবি এঁকে যা আয় হয় তা দিয়েই ভালোভাবে চলছে তার সংসার।
চলনবিল সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি নুরুজ্জামান সবুজ মাষ্টার বলেন, গোলাম মওলার ছবি আঁকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেই। জানা নেই চিত্রাঙ্কনের ব্যাকরণ। তারপরও তাঁর আঁকা বিভিন্ন চিত্রকর্মে ফুটে ওঠে। তার আঁকা ছবিতে আবহমান বাংলার মানুষের যাপিত জীবন, শৈশব, সংস্কৃতি, পেশা, উৎসব, গ্রামীণ জনপদ, গ্রামের বধূ, সারল্য, শ্রমজীবি ও মেহনতি মানুষ, বাংলার প্রকৃতি, ঋতু ফুটে ওঠে।
চিত্রশিল্পী গোলাম মওলা একুশে সংবাদ.কমকে বলেন, স্কুলে পড়ার সময় থেকে ছবি আঁকার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল গোলাম মওলার। পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন ছবি দেখে তিনি প্রথমে আঁকা শুরু করেন। এখন একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্যদিকে ছবি এঁকে তার ভাগ্যবদল হয়েছে। ছবি এঁকে যা আয় হয় ভালোভাবে তার সংসার চলছে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/শে.সা.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :