কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে প্রায় ১১ বছর ধরে বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি ন্যায্যমূল্যের ঔষধের দোকান পরিচালনা করে আসছেন মেসার্স সরকার মেডিকেল হল এর সত্ত্বাধিকারী গোলাম মহিউদ্দিন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়- সরকারি বিধি মোতাবেক গত ২৬/০৪/২০১০ তারিখে অত্র সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে ন্যায্যমূল্যের দোকানটি মেসার্স সরকার মেডিকেল হল কে বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মেয়াদ ৩০/০৪/২০১৩ তারিখে শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন কুটকৌশলের মাধ্যমে এবং স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তির সহযোগিতায় তিনি এ ঔষধের দোকানটি চালিয়ে আসছেন।
ঔষধের মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি তা করেননি। প্রত্যেক ক্রেতাকে ঔষধের নাম, বিবরণ এবং মূল্যসহ রশিদ দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি কোনটাই মানছেন না। এমনকি রাতে জরুরি ঔষধের মূল্য ৩/৪ গুণ বাড়িয়ে বিক্রি করে আসছেন।
এ ফার্মেসিতে যিনি/যারা ঔষধ বিক্রি করছেন ফার্মাসিস্ট হিসেবে তাদের কোন শিক্ষা/প্রশিক্ষণও নেই। ঔষধ বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন- "শুধু আমি কেন সব ফার্মেসিতে একই অবস্থা, আমাকে একা বলে লাভ কি?" ফার্মেসীর মালিক গোলাম মহিউদ্দিনেরও একই কথা- "অন্যসব উপজেলায় সকলে যদি এভাবে চালাতে পারে তাহলে আমিও পারবো। আর যদি সরকার সবগুলো বন্ধ করে দেয় তাহলে আমিও বন্ধ করে দিবো।"
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তৌহিদ আল হাসান জানান, মেসার্স সরকার মেডিকেল হল এর সত্ত্বাধিকারী গোলাম মহিউদ্দিনকে গত ০৩/০৮/২০২৩ তারিখে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ন্যায্যমূল্যের দোকান/ফার্মেসীর কার্যক্রম বন্ধসহ খালি করার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে ১৯/০৮/২০২৩ তারিখে জানানো হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন- "আমি বিষয়টি জেনেছি। সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিধি বহির্ভূতভাবে অবস্থানরত ন্যায্যমূল্যের দোকান/ফার্মেসী বন্ধসহ খালিকরণের জন্য অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :