দক্ষিন চট্টগ্রামের উপকূলীয় জনপদ বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান, দেশের সর্ববৃহৎ ১৩২০ মেঃ ওঃ বেসরকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের আলোচিত বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর (৫৪) গন্ডামারার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে লেয়াকতের নিজ এলাকাসহ সারা চট্টগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল ১০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭২ রাউন্ড গুলি।
আজ শুক্রবার দুপুরে (৯ ফেব্রুয়ারী) বাঁশখালী থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টার সময় বাঁশখালী থানা পুলিশ নির্ভরযোগ্য গোপন সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে লেয়াকত আলীর গ্রামের বাড়ি গন্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খামার পাড়ার তার নিজ বসতঘরে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কাটা একনলা বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ রাউন্ড গুলি, ২৬টি কাতুর্জ, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি কিরিচ, ৬টি কাঠের বাটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০টি বিভিন্ন সাইজের গাইট্টা গাছের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহামদ জানান, লেয়াকতকে রিম্যান্ডে এনে অধিকতর তথ্য জানতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। কোর্ট খুললেই জানানো যাবে। গন্ডামারার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং বাঁশখালী থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, তুমুল আলোচিত সমালোচিত ও বিতর্কিত লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে রাস্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড সহ অস্ত্র, চাঁদাবাজি, পুলিশকে হামলা, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭২ সালের অনুচ্ছেদ- ৭৩(২খ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ধারাসহ সর্বমোট ২১টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :