বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের ক্ষেত-খামার, কৃষি জমিতে মিলছে মিয়ানমার থেকে ছোড়া রকেট লঞ্চারের গোলা। অবিস্ফোরিত এসব গোলা নিয়ে খেলায় মত্ত সীমান্তের বাসিন্দা ও শিশুরা।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালেও সীমান্তের তুমব্রু পশ্চিমকুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবিস্ফোরিত দুটি রকেট লঞ্চারের গোলা। আর নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কে বন্ধ রাখা হয়েছে যান চলাচল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির তুমব্রু বিওপির ঠিক তার সামনে রাস্তায় পড়ে রয়েছে অবিস্ফোরিত গোলা। বলা হচ্ছে এটি রকেট লঞ্চারের গোলা। যা ছোড়া হয়েছে মিয়ানমার থেকে। বিওপির আর একটু সামনে গেলেন বিজিবির চেকপোস্ট, এই চেকপোস্টের সামনেও রাস্তায় পড়ে রয়েছে আরেকটি গোলা। এটিকেও বলা হচ্ছে, রকেট লঞ্চারের গোলা।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া অসংখ্য গোলা ও গুলি বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে এসে পড়েছে। যা এখন ক্ষেত-খামারে পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে রকেট লঞ্চারের গোলা পাওয়া রাজিয়া বলেন, জমিতে কাজ করছিলাম। তখন দেখি শিশুরা লম্বা লোহার রডের মতো একটি জিনিস নিয়ে খেলছে। তখন তাদের কাছ থেকে এটি নিয়ে বাসা চলে আসি। পরে স্বামী বলে এটি অস্ত্র। তার পরপরই বিজিবিকে এটি হস্তান্তর করি।
সীমান্তের বাসিন্দা থেকে শিশু, কেউ জানে না এসব খেলনা নয়, বরং অবিস্ফোরিত গোলা। যার ফলে এসব গোলা নিয়ে খেলছে তারা।
সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, গোলাগুলো কত মারাত্মক তা কেউ জানে না। মূলত এটা যে বিস্ফোরক তাও জানে না সীমান্তের অনেক বাসিন্দা ও শিশু।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এসব গোলা উদ্ধার করছে। যার চারপাশে টাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন লাল পতাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেড। ফলে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গোলা যেন নিষ্ক্রিয় করা হয়।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও গুলিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত পাঁচজন।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :