বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটার দিকে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে বেলুন উড়িয়ে এ মেলা উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবুল হায়াত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মনোয়ারুল হাসান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর (আরএমও) ডাঃ জুয়েল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসান আলী, কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলজার হোসেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার টিটু মিয়া, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার তাজমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । এ মেলায় বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোনের আসক্তি থেকে দূরে রেখে বিজ্ঞান মনোস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে দুই দিন ব্যাপী (১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারী) মেলার আয়োজন করেন কালাই উপজেলা প্রশাসন।
মেলায় গ্রুপ ভিত্তিক ২০ টি স্টলের মধ্য বিভিন্ন বিষয়ে ৭০ টি উদ্ভাবন প্রদর্শন করে উপজেলার ৪৩টি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলেন কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াত সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। মেলায় বিভিন্ন স্টলে বিজ্ঞান বিষয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কথা বলতে পেরে একদিকে উচ্ছসিত ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা, অন্যদিকে এসব দেখতে পেরে দারুণ খুশি বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ বিজ্ঞান মেলায় স্মার্ট হোম অটোমেশন, স্মোক ডিটেক্টর, সোলার পাওয়ার সিস্টেম, স্মার্ট হাউস, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুম এয়ার কুলিং সিস্টেম, বায়ুর সাহায্যে কৃষি বিদ্যুৎ উৎপাদন, জৈব সার কারখানা, মাটি ছাড়া আলু গাছ, সহজ পদ্ধতিতে কৃষি পণ্য সংরক্ষণ, কাঙ্ক্ষিত শহর, বিদ্যুৎ কন্ট্রোল রুম, নবায়ন যুক্ত শক্তি সম্পন্ন একটি আধুনিক গ্রামসহ এরকম নানা উদ্ভাবন স্থান পায়।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াত বলেন, বর্তমান সরকার একজন শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রযুক্তিতে কাজে লাগানোর জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আমাদের এই ছেলেমেয়েদের বের করতে হচ্ছে। আমাদের এই ছেলে মেয়েরা যেন সুপ্ত মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের ২০৪১ সালের উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারে। তারা-ই হবে আমাদের এই দিনের স্মার্ট নাগরিক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :