পিরোজপুরে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মোঃ নাজমুল হাসান নাইম নামের ১১ বছরের পলাতক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিন ইন্দুরকানী গ্রামের মোঃ শফিকুল আলম হাওলাদারের ছেলে। মামলা রুজুর পর হতে নাঈম পলাতক ছিল।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান,
২০১৩ সালে পিরোজপুর শহরের সিআই পাড়া এলাকার মো: জাকির হোসেনের ছেলে পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ ম শ্রেনির ছাত্র ১৪ বছর বয়সী সাদমান সাকিব প্রিন্স ওই বছরের ২৯ আগস্ট নিখোঁজ হয়। ১ সেপ্টেম্বর সকালে শহরের সিআই পাড়া রায়ের পুকুরে প্রিন্সের লাশ ভেসে ওঠে। ঐ ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সহোদর মোঃ নাফিজ হাসান নাহিদ ও মোঃ নাজমুল হাসান নাইমসহ ৮ জনকে আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন প্রিন্সের বাবা মোঃ জাকির হোসেন সরদার (লিটন)। মামলার বিচার শেষে আদালত মোঃ নাফিজ হাসান নাহিদ ও মোঃ নাজমুল হাসান নাইমকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে নাহিদ কারাগারে থাকলেও নাঈম পলাতক ছিলো।
পুলিশ সুপার জানান, আসামী নাঈম পলাতক থাকাকালীন প্রতারনায় দায়ে তার বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি প্রতারনার মামলা হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামীর নাম-ঠিকানা পিসিপিআর যাচাইয়ে ইন্দুরকানী থানায় অনুসন্ধান ¯িøপ পাঠান। উক্ত অনুসন্ধান ¯িøপ তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মোঃ মুনসুর আলম অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন আসামী ঢাকায় পলাতক আছে। সাভার থানার রুজুকৃত মামলার বাদী মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সাথে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ যোগাযোগ করে আসামীর ছবি, মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। তখন ইন্দুরকানী থানা পুলিশ জানতে পারে আসামী নাঈম ছদ্ম নাম আরমান ব্যবহার করে সে তার কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার ঢাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ১৬৬/২ মানিকদি এলাকা হতে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের এএসআই মোঃ মুনসুর আলম ১১ বছর ছদ্মনামে আত্মগোপনে থাকা আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নাইমকে গ্রেপ্তার করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :