গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যান সমর্থকেরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবগত রাত পৌনে ১১টার দিকে নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ টাকা দাবি করার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩১)। তিনি মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া (মেডিকেল মোড়) এলাকার ফরচুন ক্যাবলস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আসামি ও তার সহযোগীরা কারখানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ ২০ লাখ টাকা দাবি করে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম। ওই মামলায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে প্রধান আসামি করে আরো দুই সহযোগীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ওইদিন রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সিংগারদিঘী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বায়েজিদ (৩০), মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে তাজউদ্দিন (৫০)।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে রাতেই তার সমর্থকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
জাহাঙ্গীর আলমের খোকনের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চক্রান্তের শিকার।
মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন ঘটনার দিন আসামিরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আসামিরা তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং তার দুই পা ধরে টেনে নিয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
একুশে সংবাদ/স.ই.উ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :