কেউ ছিলেন নৌকা হারানোর প্রচেষ্টায়, কেউ ছিলেন ভোট বর্জনের পক্ষে। তবে ভোটের এক মাসের মধ্যেই ভোল বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সংবর্ধনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারাই হয়েছেন উদ্যোক্তা।
ঢাকার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে নির্বাচিত বেনজির আহমদের জন্য এ সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ আয়োজনের একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়। এটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
প্রচারপত্রে দেখা যায়, বিশেষ অতিথির তালিকায় নাম রয়েছে, নূর মোহাম্মদ সানি, মো. সুমন সরকার, মো. হারুন অর রশিদের নাম। তারা দুজনই ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেনের প্রচারণায়। তালিকায় থাকা আফরোজা আক্তার শুরুতে ট্রাকের প্রচারে থাকলেও পরবর্তীতে নৌকার প্রচারে যুক্ত হন।
এছাড়া তালিকায় থাকা তৈমুর হোসেন তুলা ও মো. আব্দুল মান্নান বিএনপির পদধারী নেতা।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে থাকা মো. আলতাফ হোসেনকে ভোটের প্রচারের সময় ট্রাক প্রতীকের পক্ষে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা মো. আরিফুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক (শুভ) ও আশিকুর রহমান বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত।
কার্ডে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকা মো. আসলাম হোসেন নিজেকে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ হিসেবে পরিচয় দিলেও সংগঠনে তার পদ কি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। মূলত তিনি স্থানীয় ইটভাটা ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি এ কার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নাম ও বিএনপি নেতাদের নাম থাকায় তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে সেটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর আরেকটি প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়। তবে তাতেও বেশিরভাগ বিতর্কিতদের নাম রয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ভোটের সময় বিভিন্ন পক্ষে থাকলেও হাট-বাজারে চাঁদাবাজি, ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করাসহ স্থানীয় বিভিন্ন আর্থিক সমঝোতা রয়েছে তাদের। ভোটের সময় বিভাজন হলেও এমপিকে সংবর্ধনা দিয়ে আবারও সবাই একত্র হওয়ার প্রচেষ্টা নিয়েছেন।
প্রচারপত্রে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকা স্থানীয় ইটভাটা ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন বলেন, তারা আমার সঙ্গে নৌকার পক্ষে ঘুরছে তাদের নামই দিছি।
গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, আমি বাইরে আছি। এখন কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা-২০ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদকে মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল ধরেননি।
গত ৯ জানুয়ারি এক সংবর্ধনায় বেনজির আহমদ বলেছিলেন, দলের দুঃসময়ে যারা নৌকা থেকে নেমে গেছে, আমি যতদিন আছি তারা আর কোনদিন নৌকায় উঠতে পারবে না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :