পদ্মা নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চরে ঝাঁক বেঁধে আকাশে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মায় নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে থাকে পদ্মাচর।
সুদূর হিমালয় থেকে সাইবেরিয়ার তীব্র ঠান্ডার দেশ থেকে একটু উষ্ণতার খোঁজে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাখিরা এ দেশে আসে।
শুধু শীত এলেই তাদের দেখা মেলে। সেজন্যই আমাদের দেশে এদের অতিথি পাখি নামে ডাকা হয়। পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই চোখ জুড়ানো তাদের খুনসুটি।
স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুরের পদ্মায় নতুন জেগে ওঠা চর এখন অতিথি পাখির দখলে। বালু বাতান, জোড়ালী, কাদা খোঁচা, বাবু বাতানসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা মেলবে এই চরেগুলোতে। কখনো জলে ডুব-সাঁতার দিচ্ছে, কখনো ঝাঁক বেঁধে মুক্ত আকাশের নীলে উড়ে বেড়াচ্ছে তারা।
উপজেলার আন্ধারমানিক ঘাট থেকে ট্রলারে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে পদ্মায় জেগে ওঠা নতুন চর। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সূর্যের সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়লে এসব চরে পাখিদের কিচিরমিচির বেড়ে যায়। দিন শেষে ঝাঁক বেঁধে ফেরে আশপাশের অস্থায়ী নীড়ে।
স্থানীয় শাহিন নামের একজন বলেন, এ চরাঞ্চলে আসা পাখিগুলো ছোট। এদের মধ্যে বালু বাতান, জোড়ালী, কাদা খোঁচা, বাবু বাতানই বেশি। শীতের সময়টাতে অন্য দেশে হিমালয়ের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বরফ পড়ার কারণে তুলনামূলক কম শীতের বাংলাদেশে খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় চলে আসে এসব পাখি।
এ বিষয়ে পদ্মায় ঘুরতে আসা মো. আলমগীর নামের এক দর্শনার্থী বলেন, পদ্মার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এই পাখিগুলো আরো বৃদ্ধি করেছে। পাখি হত্যা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে আইন আছে। পাখি হত্যার মত বেআইনি কাজ যারা করবে তাদের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ নূর এ আলম বলেন, প্রকৃতির অলংকার পাখি। এদের ধ্বংস করা মানে পরিবেশকে ধ্বংস করা। অতিথি পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওড়-বাওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :