AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কাঁচা গমের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন


Ekushey Sangbad
নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
০৫:০৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
কাঁচা গমের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

কাঁচা গমের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের মন ও শরীর। সোনালী রোদে চিকচিক করছে কাঁচা সবুজ প্রতিটি গমের শীষ। কৃষকের স্বপ্ন যেন মিশে গিয়েছে সোনালী গমের শীষে। ময়মনসিংহের নান্দাইলে বর্তমানে গমের সবুজ কাঁচা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকগণ।

রবি শস্যের মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক আবাদ হচ্ছে গম। বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় গম চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে নান্দাইলে ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষক গম চাষ করেন। অধিকাংশ জমিতে কৃষক উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে পরিচিত বারি-২৮,৩০, ৩২ ও ৩৩ রোপণ করেছেন। এছাড়া বারি-২৫ ও ২৭ জাতের গম চাষ করা হয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকি ও পরামর্শে গম ক্ষেতে কোনো রোগবালাই ছিল না। তাই গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার বীরকামট খালী, চরকামট খালী, চরকোমরভাঙা, হাটশিরার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি গম ক্ষেতে কাঁচা সবুজ শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। নতুন গম মাড়াই করে ঘরে তুলবেন এ প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন প্রতিটি কৃষক পরিবার।

উপজেলার বীরবেতাগৈর, চরবেতাগৈর, খারুয়া, শেরপুর,আচারগাঁও,নান্দাইল, সিংরইল, গাঙ্গাইল,জাহাঙ্গীরপুর, মুশুলী ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও বিক্ষিপ্তভাবে গমের আবাদ হয়েছে। তবে চরকামট খালী, চরউত্তরবন্দ, চরকোমরভাঙা, চরভেলামারী, চরলক্ষিদিয়া, বীরকামট খালী এবং হাটশিরার চরাঞ্চলে গমের আবাদ বেশি হয়েছে।

বীরকামট খালী গ্রামের গমচাষি ইলিয়াস উদ্দিন, আঃ জলিল, আফাজ উদ্দিনসহ  অনেকেই জানান, বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের শীষ খুব ভালো এসেছে। প্রতিটি শীষ অনেক বড় হয়েছে। গম চাষি ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার গম ক্ষেত অনেক ভালো হইছে। দেখলে মন ভরে যায়।

গম চাষি আঃ জলিল, আব্দুল হাই- আফাজ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে থাকে ও গমের বাজার ভালো থাকে তাহলে গম চাষে তারা লাভবান হবেন।

গম চাষে বীজ, কীটনাশক ও দিনমজুরসহ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হলেও বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ মণ গম পাবেন বলে জানান চাষিরা। বর্তমানে বাজারে প্রতিমন গম ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ। গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না। এতে খরচ অনেক কম। আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও গমে পোকা-মাকড়ের আক্রমণও তেমন একটা হয় না। গম গাছ জ্বালানি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, গত বছরের চাইতে এবছর হেক্টর প্রতি ফলন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারদরও বেশী, ফলনও ভালো হয়েছে। তাই চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত গমে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয়নি। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি প্রায় ৩.৫ টন হারে ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/আ.হ.উ/সা.আ

Link copied!