কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর ভাতা কার্ডের টাকা প্রতারনা করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বিকাশের এজেন্ট হাসান তারেক (৩২) কে আটক করেন।
গোড়াই আনন্দ বাজার নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আটক ব্যক্তি দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মন্ডলপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা দূর্গাপুর ইউনিয়নের সূবল চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্পনা রানীর ২০২২ সালে ভাতা কার্ড হয়। প্রতি ৩ মাস পর পর তার স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আসছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি ওই মোবাইল নম্বরে প্রতিবন্ধী ভাতার ২ হাজার ৫ শত ৬৭ টাকা আসে। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি টাকা উত্তোলনের জন্য স্থানীয় গোড়াই আনন্দ বাজারের বিকাশ এজেন্ট হাসান তারেকের দোকানে গেলে তিনি বিকাশের গোপন পিন নাম্বার জানতে চান। এসময় ভূক্তভোগী সরল বিশ্বাসে পিন নাম্বার এজেন্টকে জানায়। এরপর ওই এজেন্ট কিছুসময় ধরে মোবাইল ফোন চাপাচাপি করে তাদের ফোনে কোন টাকা আসেনি বলে জানায়। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হলে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ০১৯৯৮৬৬৯৯৮৩ নাম্বারে ২ হাজার ৫ শত ৬০ টাকা সেন্ডমানি করা হয় এবং নাম্বারটি হাসান তারেক ব্যবহার করেন।
এ ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্পনা রাণীরর স্বামী সুবল চন্দ্র বাদী হয়ে শনিবার হাসান তারেকের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ক.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :