সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হুমকির মুখে বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে আজ রোববার সকাল থেকে এই দুটি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই তিন উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেএনএফের পূর্বঘোষিত হুমকি সত্ত্বেও আজ যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেছিল পরিবহন শ্রমিকরা। তবে, যান চলাচল বন্ধ না রাখায় রুমায় আজ পরিবহন লাইনম্যান লুফু মারমার ওপর হামলা হয়। এ কারণে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রুমায় বম জনগোষ্ঠীর বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দূর্বৃত্তরা। এ হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে তিন উপজেলায় যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতি দেয় কেএনএফ।
উল্লেখ্য, বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি কয়েক বছর আগে এই সংগঠন গড়ে তুলেন। এরপরই আলোচনায় আসে কেএনএফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এর আগে, তারা ফেসবুকে দাবি করে, রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে কেএনএফ। সেগুলো হলো বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি। তারা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম—এই উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি করেছে। সংগঠনটির সভাপতি নাথান বম।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গত বছর জানিয়েছিল, পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত কেএনএফ।
একুশে সংবাদ/য.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :