ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন আম গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। এলাকার ছোট-বড় প্রায় সকল গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আমের মুকুল এতে বেড়েছে ভ্রমরের আনাগোনা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ বাতা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজে নিয়ে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল।
আমের মুকুল দেখে মনে হচ্ছে যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আম্রুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলিসহ আরো অনেক অনেক আম। এরইমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা।
আম বাগানে মালিকেরা জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে আম সংগ্রহ পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয় বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তাতে হেক্টরে ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বালাইনাশক লাগে
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর শীতের প্রভাব আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন বাগানে এখন মুকুলের ম-ম গন্ধ। যে কারও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। কোনো গাছ থেকে ক্ষুদ্র আকারে মুকুল বের হচ্ছে, আবার কোনো গাছে পরিপূর্ণ মুকুল এসে গেছে। ফলে বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
একুশে সংবাদ/স.চ.জে/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :