দীর্ঘ ১৩ বছর পর শেরপুরের নকলায় নাবালিকা আকলিমা খাতুন(০৪)কে অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তাসলিমাকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, জামালপুর।
২২ফেব্রুয়ারি বৃহম্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তাছলিমা নকলার পাঁচকাহনিয়া এলাকার হোসেন আলীর স্ত্রী।
র্যাবের পাঠানো প্রেস রিলিজ সুত্রে জানা গেছে, ২০১১সালের ৯ অক্টোবর ভিকটিম আকলিমার বাড়ীতে আত্মীয়র সুবাধে বেড়াতে আসে তাছলিমা। এই সুবাধে ১০অক্টোবর শিশু আকলিমাকে নিয়ে বাড়ির পাশে ঘুরতে বের হয়। পরে ওই শিশুকে বাড়ীতে না এনে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রীজ এলাকায় নিয়ে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে তাছলিমার স্বামী হোসেন আলী। পরে আকলিমার বাবা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তার অনুপস্থিতিতে আদালত দীর্ঘ বিচার শেষে তাসলিমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ধারায় ১৪বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
অবশেষে ১৩ বছর পর র্যাব-৭ এর সহযোগীতা, র্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী`র নেতৃত্বে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাসলিমাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পর তাসলিমাকে উপরোক্ত মামলায় সংশ্লিষ্ট থানায় সোর্পদ করে র্যাব-১৪।
র্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সমাজের যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :