বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা ও মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া এলাকা থেকে কয়েক দফায় বিকট শব্দ শোনা গেছে। এতে ওই সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত চলছে। বিভিন্ন সময় সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুমের লোকালয়ে বিস্ফোরিত হয়ে বাংলাদেশিসহ একাধিক নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ও গোলা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল স্থানীয়দের। পরে কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় স্বস্তি ফিরেছিল সীমান্তবাসীর মনে। তবে রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুমধুমের তমব্রু এলাকা। ফলে স্থানীয়দের মনে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সকালে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
এরআগে, শনিবার রাত সোয়া ২টা থেকে টানা শত রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো।
বাইশফাড়ি সীমান্তের বাসিন্দা মো. এরশাদ বলেন, দু`দিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। সীমান্ত এলাকায় কাজকর্ম করতে ভয় লাগছে।
তবে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সাতটি স্কুল এখনও খোলেনি। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের মাধ্যমে বন্ধ স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর হাতছাড়া হওয়া আরকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে গুলি ছোড়া হলে প্রতিপক্ষ অপর বিদ্রোহীরা তাদের ওপর পাল্টা গুলি চালায়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আবরও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তার এলাকার হাজারও মানুষ। তবে লোকজন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :