২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছরেও বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে বিডিআর সদস্যদের পরিবার গুলো।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল কাদের স্বারকলিপি গুলো গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, দুটি মামলার নিষ্পত্তি হলেও বিস্ফোরক মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে পঞ্চগড়ের আটক থাকা ৫ বিডিআর সদস্যের পরিবার।
স্বারকলিপিতে জানা গেছে, গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় কেউ খালাস পেয়েছে আবার অনেকে হত্যা মামলায় ফৌজদারি আইনে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগ শেষ করেছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বিস্ফোরক দ্রব্য মামলাটি নিষ্পতি না হওয়ায় এবং সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও জামিন না পাওয়ায় অসহায় পরিবার গুলো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। হত্যা মামলাটির ২ বছর ১১ মাসে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রায় প্রদান করা হয়। তবে বিস্ফোরক মামলাটি ১৫ বছরের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। বিস্ফোরক মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করলেও কোন অগ্রগতি না পেয়ে ও আর্থিক সংকটে মামলাটি উচ্চ আদালতে পরিচালনা করতে না পেরে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারের সদস্যরা। বিস্ফোরক মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি ও রায় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
মামলায় আটক থাকা পঞ্চগড় জেলার ৫ বিডিআর সদস্য হলেন- (১) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বেংহাড়ি কালিগঞ্জ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে বিডিআর সদস্য আরিফুল ইসলাম, (২) তেঁতুলিয়া উপজেলার হাওয়াজোত শিপাহিপাড়া গ্রামের মৃত আসির উদ্দীনের ছেলে সদস্য বাবুল হোসেন, (৩) তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া লোহাকাচী গ্রামের সফিউল ইসলামের ছেলে সদস্য হাসিনুর রহমান, (৪) পঞ্চগড় সদরের কাগোজিয়া পাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে সুবেদার সপিজ উদ্দীন, (৫) বোদা উপজেলার বোস পাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে সদস্য আফ্তাবুর রহমান।
বর্তমানে তারা সকলেই ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ড.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :