এই তো কয়েকদিন হলো মাঘের শীত বিদায় নিয়েছে প্রকৃতি থেকে। এরই মধ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফাগুনকে বরণের মধ্য দিয়ে প্রকৃতিতে এসছে ঋতুরাজ বসন্ত। হলুদ, বাসন্তী আর গাঢ় লালচে ফুলে ফুলে সেজেছে গ্রাম বাঙলার অপরূপ প্রকৃতি। গাছে গাছে আমের মুকুল গ্রামবাংলার ফাগুনের প্রকৃতিকে অপরুপ করে তুলেছে।
মানিকগঞ্জের প্রতিটি গ্রামের মেঠোপথে কখনও কখনও দূর থেকে কানে ভেসে আসছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক। আমের মুকুলের সৌন্দর্য ও এর মৌ মৌ গন্ধ পাগল করে সকল বাঙালিকেই। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এ মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
মানিকগঞ্জের প্রত্যেকটি উপজেলার আম গাছে আমের মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এ বছর আমের মুকুলের সোনালি রঙয়ের নান্দনিক দৃশ্য অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষণীয়। তাই কৃষি অধিদপ্তর আসা করছে চলতি মৌসুমে এ জেলায় আমের ভালো ফলন হবে।
হরিরামপুর উপজেলার মো. সালাম নামের একজন বলেন, এবার আমের মুকুলে পোকা মাকড়ের উপদ্রব বা অন্য কোন সমস্যা না দেখা দিলে ফলন ভাল হবে। আমের সোনালি মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে প্রতিটি গাছের ডাল। এবার গাছে গাছে অনেক বেশি মুকুল হয়েছে বলে আমরা বেশ খুশি।
স্থানীয় বসতবাড়ীর আম চাষীরা বলেন, অন্যান্য জেলার তুলনায় আমাদের জেলাতে আম বাগানের সংখ্যা খুবই কম। তবে আমাদের এই অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি আম গাছ রয়েছে। এবার গাছগুলোতে আমের অনেক মুকুল এসেছে। এখন ফলন নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ জানান, আমাদের এখানে ৩৮০০ হেক্টর জমিতে ফলের বাগান রয়েছে। বড় আমের বাগান না থাকলেও ছোট ছোট সবমিলিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ বাগান হবে এবং এই বাগান গুলোতে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া বিভিন্ন উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আমরা সিজন বেইসড যে কাজগুলো করা দরকার সেক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :