ফরিদপুরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভালো ফলনের পাশাপাশি ফুলকপির ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় চাষিরা। রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও।
ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় যে, এই বছরেই প্রথম ফরিদপুর সদর উপজেলায় রঙিন ফুলকপির পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে। ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোড়দারকরণ প্রকল্প’র আওতায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক শেখ মোহাম্মদ আলীর মাঠে এই প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়। প্রদর্শনীতে দুই রঙের রঙিন ফুলকপি চাষ করা হয় গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা ও হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিন। সাদা ফুলকপির চেয়ে এই দুই জাতের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি, দেখতেও সুন্দর। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্যও বেশি।
স্থানীয় কৃষক শেখ মোহাম্মদ আলী মূলত একজন সবজি চাষি। তিনি গতবছরও ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন কিন্তু তেমন একটা লাভের মুখ দেখেননি। তাই এ বছর রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু বীজ সংগ্রহের পরামর্শ পেতে তিনি উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার আনেয়ার হোসেন তার সঙ্গে কথা বলে তার আগ্রহের কথা জানতে পেরে তাকে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে দেন।
মোহাম্মদ আলী বলেন, সিজনের শুরুতে এই ফুলকপি প্রতি পিস ৭০ টাকা করে জমি থেকেই বিক্রি হয়, এখন প্রতি পিস ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা সাদা ফুলকপির চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি। এই কপি চাষাবাদে তেমন কোনো বাড়তি খরচ হয় না, পোকামাকড়ের আক্রমণও কম।
মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীতে যে দুই রঙের রঙিন ফুলকপি চাষ করা হয়েছে তা অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিন যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন থাকার কারণে এমন এই রঙ হয়ে থাকে। ঠিক একই কারণে গাজরের রঙ ও কমলা হয়। এই রঙের সবজিতে অন্য রঙের সবজির তুলনায় প্রায় ২৫ গুণ বেশি ভিটামিন এ উপাদান থাকে। ফলে এগুলো বেশি পুষ্টিকর।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :