ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠা ভ্যানচালক ছামাদ শেখকে (৩২) আটক করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার ছাত্রীর চাচা লাভলু শেখ বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের পর ভাঙ্গা থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ভ্যান চালক ছামাদ শেখকে আটক করে। সে ভাঙ্গা উপজেলা আলগী ইউনিয়নের চর বাইলা গ্রামের আজাহার শেখের ছেলে।
অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রীটি মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে দাওয়াত খেতে পাশের এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে যায়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে ভ্যান চালক ছামাদ শেখ মেয়েটিকে রাস্তার পাশে একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে দেয়। দোকান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর মেয়েটিকে জোর করে তুলে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে ভ্যান চালক ছামাদ।
ভুক্তভুগী স্কুল ছাত্রী ভাঙ্গার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন জানায়, মেয়ের চাচা লাভলু শেখ বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরে মেয়ের জবানবন্দির ভিত্তিতে এ,এস,আই জাকির হোসেনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাটকামারি এলাকা থেকে ছামাদকে আটক করতে সক্ষম হই। মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক ছামাদকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মেয়ের বাবা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর আমার মেয়েটি পাশের এক আত্মীয়র বাড়ি দাওয়াত খেতে যায়। সন্ধ্যার পরে বাড়ির আসার পথে আমার শিশু বাচ্চা মেয়েকে রাস্তা থেকে জোর করে জঙ্গলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই এবং ধর্ষণকারী ছামাদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মামুন আল রশিদ জানান, শিশু মেয়েটির বিষয়ে একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :