মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে একটি সরকারী খালের দখল মুক্ত করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন।
লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নে সরকারি খালের জমি দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর ও দোকান ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে ছিলেন মারইল গ্রামের আব্দুল রহমান।
খাল দখলের বিষয়টি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় "খাল ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ" শিরোনামে কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়৷ তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন খালটি দখল মুক্ত করার ব্যাবস্হা নেন।
ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকারি খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি আমি জানতে পেরে খাল দখলকারীদের বাড়ি ঘর নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছি।
জানা গেছে, ডহরি-তালতলা সরকারি এই খালটি ৬০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত৷ মারইল ও ডহরি নওপাড়া গ্রামের কদম পাগলের বাড়ির পাশ দিয়ে মফু মাতবরের বাড়ি ঘেষে কলমা খালের সাথে মিলিত হয়েছে৷ আগে এই খাল থেকে ২টি বিলের কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করতেন এলাকার কৃষকরা। ব্রিটিশ আমল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বড় বড় নৌকা ও জাহাজ দিয়ে কৃষকরা ওই খাল দিয়ে পাটসহ বিভিন্ন ফসল ও হাট-বাজারের বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। কিন্তু বর্তমানে খালটি এমন ভাবে ভরাট করে দখল করা হয়েছে তাতে করে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :