ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনের আগুনে প্রাণ গেলো যশোরের রকি’র। তিনি গত দুই মাস আগে রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে আগুন লাগে। আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে মারা যান রকি।
দুই মাস পর তিনি বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে। শোকের মাতম চলছে যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের বাড়িতে।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ পৌঁছায়। তার মৃত্যুর সংবাদে স্বজন, প্রতিবেশীরা ভিড় করে তাকে একনজর দেখার জন্য। তাদের আহাজারি, কান্নায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত রকি`র ভাই কামরান হোসেন সাজিম বলেন, তার ভাই মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে গত ডিসেম্বর মাসে কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় ভবনটিতে আগুন লাগে। তিনি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই রকির মৃত্য হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
কামরান হোসেন সাজিম বলেন, আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে রকি সবার বড়। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে চাকরি করে সংসারের হাল ধরেছিল। বাবা ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। তাদের দুজনের আয়ে আমাদের সংসার চলত। ভাইকে এভাবে হারাতে হবে কখনো
কল্পনাই করিনি।
রকি`র মামা বলেন, আমি রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরি হওয়ার পর আমিই তাকে ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে রকি চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
এদিকে নিহত রকির বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরাও রকি স্মৃতিচারণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। সবাই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। রকির মা রিপা বেগম ও বাবা কবির হোসেন সন্তানের শোক বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন। শুধু সন্তানের জন্য মাতম করছেন তারা।
একুশে সংবাদ/ই.র.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :