- ভাঙা সাঁকোই পারাপারের একমাত্র ভরসা
- দুর্ভোগে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ জিউধারার ৮ গ্রামের মানুষ
- স্থানীয়দের ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মানের দাবি
- কলসি কাধেঁ শত শত নারী খাবার পানি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে পার হয়
সাঁকোটি অনুমানিক ৩৫ ফুট দীর্ঘ। পথচারী চলার সময় সেটি দোলে, থরথর করে কাঁপে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ১২ নং জিউধারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বরইতলা খালের পুল ভেঙে হয়ে গেছে সাকো, ৫ বছরেও কোন সংস্কার হয়নি, অনেক স্থানে বাঁশ-খুঁটি পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভঙ্গপ্রায় সাঁকোটির ওপর দিয়ে অতি কষ্টে ও সাবধানতা অবলম্বন করে পারাপার হন লোকজন। অনেকে সাইকেল মাথার ওপর তুলে এক হাত দিয়ে বাঁশ ধরে পার হন।
এমন দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার জিউধারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ঠাকুরতলা-বরইতলা গ্রামের মধ্যবর্তী একটি খালে। এই গ্রামের ৬০ ভাগ মানুষ সংখ্যালঘু, ৮ বছর আগে একটি পুল ছিল এই খালটিতে।
প্রাচীন এই খালটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে লক্ষীখালী, সাধুর বাজার সহ ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় অনেক নারী, পুরুষ ওই এলাকার সিদ্দিকুর রহমান নামের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বাড়ির পুকুর থেকে কলসি কাধে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই সাকো পার হন। বর্ষা এলে শুরু হয় চরম দুর্ভোগ। ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের।
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত, মৎস্য ঘেরে খাবার পৌঁছানো, মাছ ও কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের এ সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপার হন পথচারীরা। সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে এর সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে আসছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থীদের এই সাঁকো পার হয়ে এই ইউনিয়নের ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালিমুনন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ বাংলা কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই খালের ওপর ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। তারা এটা বাস্তবায়ন চান।
৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্থানে পুল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে একটা ব্রীজ বা কালভার্ট খুব জরুরী।
জিউধারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, এই পুলটি নির্মাণের জন্য কতৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখানে এই পুল নির্মাণের জন্য স্থানীয়ভাবে কোন আবেদন পাই নি, তবে খোজ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলটি নির্মাণে বরাদ্দ সাপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ফ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :