পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জমে উঠেছে সরিষার হাট। সরিষার ফলন ও দাম নিয়েও হাসি ফুটে উঠেছে চাষীদের চোখে-মুখে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর বাজার হাট কর্তৃপক্ষ জানান, সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও বুধবার এখানে সরিষার হাট বসে। এই হাটে বিভিন্ন জাতের সরিষা উঠে এবং সরিষার মান-দাম কিছুটা বেশি থাকায় দূর-দুরান্ত থেকে সরিষা কেনা-বেচা করতে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া এলাকার সরিষার বেপারি মামুন হোসেন বলেন, অন্যান্য হাটের তুলনায় ভাঙ্গুড়ার হাটে বিপুল পরিমাণ সরিষা পাওয়া যায়। হাটটি বাড়ির খুব কাছে হওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। শনিবার হাটে আমি ৪৫ মণ সরিষা কিনেছি।
উপজেলার সরিষাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো আবাদের চেয়ে সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই সরিষার ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়া বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি। সরিষার বর্তমান বাজারদর প্রতি মণ ২ হাজার ২`শ থেকে দুই হাজার ৬`শ টাকা। তবে রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করলে সরিষার বাজারদর আরও বেশি পাওয়া যাবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন জাহান বলেন, আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকা ও কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ নিয়ে কৃষকরা সরিষার আবাদ করেছে। রবি মৌসুমে এবার উপজেলায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে লক্ষমাত্রা নির্ধারণের চেয়েও অধিক সরিষা চাষাবাদ হয়েছে, যা বিগত বছরের সরিষার লক্ষমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার ফলন কিছুটা কম হয়েছে।
একুশে সংবাদ/শে.সা.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :