শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচারণায় রয়েছেন। ফলে নতুন করে বইছে নির্বাচনী আমেজ। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামগঞ্জ উপজেলা একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও, রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল বিকাল ৫ টায় রামগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় নিজের নাম ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম রুহুল আমিন।
তিনি এসময় সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। বিগত ১৯ বছর যাবত আমি রামগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারনে বেশ কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি দুই দুই বার দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি, একবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। সেই মনোবাসনায় এবারও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি জনগন আমার পাশে থাকবে। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি রামগঞ্জ উপজেলাবাসীর জন্য ভালো কিছু করতে চাই। সরকারের উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই উন্নয়নে পেকুয়াকে সম্পৃক্ত করতে আমাদের মতো স্বচ্ছ মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রয়োজন। মানুষের সুখে দু:খে তাদের পাশে থেকেছি। এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করছি। আমি নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলায় রুপান্তিরিত করবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম রুহুল আমিনকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান উপজেলাবাসী শীর্ষক বিভিন্ন পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পাশাপাশি একজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ায় এবারের নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররাও তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। জনগণের পাশে থেকে দলের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করবেন বলে আশাবাদী সাধারণ ভোটাররা।
একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :