রাজশাহীর তানোরের সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সোমবার (৪ মার্চ) এলাকাবাসী ডাকযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদুক) লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা নয়ছয়, স্কুলের কম্পিউটার, বিজ্ঞান, পদার্থ ও রষায়ন বিষয়ে নিয়মিত ক্লাশ হয়না এবং স্কুলের প্রায় ৪৫ বিঘা ফসলী জমি ও দুটি দীঘির (পুকুর) আয়-ব্যয়ের কোনো সঠিক হিসেব কমিটির কাছে জানানো হয় না।
এলাকাবাসী প্রকাশ্যে স্কুলের জমি ও পুকুর ইজারা এবং আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছ হিসেব সকলের কাছে প্রকাশের দাবি করেছে। এছাড়াও এসব বিষয়ে দুদুকের অনুসন্ধান দাবি করেছে। স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রায় ৪৫ বিঘা ফসলী জমি ও দুটি বড় আয়তনের পুকুর ইজারা থেকে প্রতি বছর প্রায় কুড়ি লাখ টাকা আয় হয়। কিন্ত্ত এসব টাকায় বিদ্যালয়ের কোনো উন্নয়ন না করে আবার কখানো নামমাত্র উন্নয়ন করে সিংহভাগ টাকা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলেমিশে তছরুপ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, স্কুলের যে সম্পদ রয়েছে, সেই সম্পদের সুষ্ঠু বা সঠিক ব্যবহার করা হলে স্কুলের চিত্র পাল্টে যেত। এসব বিষয়ে দুদুকের তদন্ত সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা সরেজমিন তদন্তপুর্বক জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, এসব বিষয়ে সভাপতির অনুমতি ছাড়া কোন তথ্য দেয়া যাবে না। আপনারা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, স্কুলের যা কিছু সব সভাপতি তদারকি করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার ওরফে আবু সাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবকিছু নিয়ম মাফিক হচ্ছে।
এবিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সা.হো.জে/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :