পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অটোরিকশা প্রতিকের এনামুল হক অপু ও ঘোড়া প্রতিকের আব্দুল মালেক মিয়ার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ি করছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মল্লিকডুবা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
অটোরিকশা প্রতিকের কর্মীরা জানান, তারা কয়েকজন মল্লিকডুবা বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ ঘোড়া প্রতিকের কর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে তাদের এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। হামলাকারীরা একটি দোকান ও তাদের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় তাদের ২ জন কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবী করেন।
অন্যদিকে ঘোড়া প্রতিকের কর্মীরা জানান, প্রচারণা শেষে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। মল্লিকডুবা বাজারে পৌঁছালেই অটোরিকশা প্রতিকের নেতা-কর্মীরা তাদের হামলা করেন। এসময় কোনো মতে নিজেদের আত্মরক্ষা করেন তারা। তাদের একজন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকলে তাকে টেনেহিঁচড়ে বেড় করার সময় অটোরিকশার কর্মীরা দোকানে ভাঙচুর করে। অটোরিকশার কর্মীরা অপরাধ আড়াল করতে নিজেরা নিজেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। হামলায় তাদের তিনজন কর্মী আহত বলে দাবি তাদের।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশের একটি দল। তারা পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একটি চায়ের দোকানে মালামাল এলোমেলো অবস্থায় দেখেছি। কেউ আহত হওয়ার কোনো তথ্য এখনো পাইনি। তবে কয়েকজনকে চর থাপ্পড় মারা হয়েছে এমন তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, রাতের ঘটনা তাই প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা এলোমেলো কথা বলে। উভয় পক্ষ প্রতিপক্ষেকে দায়ি করছে। থানা পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :