ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখন প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা চলছে, কে কত বেশি ভোটারদের দ্বারে যেতে পারেন। ভোটের বাকি মাত্র এক দিন। তাই ভোটারদের মধ্যেও আলোচনা চলছে এবার কারা হবেন বিজয়ী। পুরনোরাই কি ফিরে আসবেন? নাকি নতুন মুখ দেখা যাবে? ভোটাররা বলেন, মেয়র পদে প্রার্থী আছেন সদ্য পদত্যাগকারী মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
এই পদে নতুন প্রার্থী হিসেবে আছেন এহতেশামুল আলম, সাদেকুল হক খান মিল্কী, শহীদুল ইসলাম ওরফে স্বপন মণ্ডল ও রেজাউল হক। টিটু ছাড়া অন্য চারজন মেয়র পদে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন। তাঁদের মধ্যে ভোটারদের আলোচনায় এগিয়ে থাকা তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। এঁরা হলেন ইকরামুল হক টিটু, এহতেশামুল আলম ও সাদেকুল হক খান মিল্কী।
ভোটের প্রচারণায় টিটু তুলে ধরছেন মেয়র পদে থাকাকালে তাঁর উন্নয়নের ফিরিস্তি। চলমান কাজগুলোর সফল সমাপ্তির জন্য তিনি আবারও তাঁকে বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছেন। অন্যদিকে এহতেশামুল আলম ও সাদেকুল হক খান মিল্কী বলছেন ভবিষ্যতের উন্নত ময়মনসিংহ নগরীর কথা। তাঁরা এ নগরীকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা জানিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।
ভোটারদের সঙ্গে আলাপে দেখা গেছে, অনেকে মনে করেন আগের মেয়াদে টিটু উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মেয়র হলে আগামী দিনেও অভিজ্ঞতার আলোকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আবার অনেক ভোটার নতুন মেয়র প্রার্থীদের প্রতি আস্থা রাখছেন। এই পক্ষের ভোটাররা মনে করেন, নতুনরা সব সময়েই ভালো করেন, নতুন কিছু করার সদিচ্ছা রাখেন। তবে নতুন প্রার্থী পছন্দ করা ভোটারদের ভোট বিভক্ত হয়ে যাবে। কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদেও জমাট লড়াই হবে পুরনো ও নতুন প্রার্থীদের। ৩৩টি ওয়ার্ডে এর আগেও একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আছেন বেশ কয়েকজন। এবারও তাঁদের কয়েকজন খুবই শক্তিশালী প্রার্থী। তবে কোনো কোনো ওয়ার্ডে নতুন মুখও এবার জয়ী হয়ে আসতে পারেন।
এলাকাবাসী জানায়, যেসব কাউন্সিলর ভোটারদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখেননি, তাঁদের কেউ কেউ হারতে পারেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী অংশ অনেক নতুন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে। এঁরাও কেউ কেউ বিজয়ী হতে পারেন। একই অবস্থা মহিলা কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রেও। তবে মহিলা কাউন্সিলরদের মধ্যে পুরনোদেরই ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। আগে থেকে এলাকায় বিভিন্নভাবে সেবা ও সহযোগিতা দেওয়ার কারণে বর্তমান মহিলা কাউন্সিলররা স্বাভাবিকভাবেই সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। অন্যদিকে নতুন অনেক প্রার্থীকে ভোটাররা চেনেনই না। এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল পরিচিত না হলে ভোট দিতে চান না অনেকেই।
একুশে সংবাদ/ত.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :