হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সিলগালা করা এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার করা হলেও শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার তামিমকে খতনা করাতে ওই ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ক্লিনিকের চিকিৎসক জাহিরুল ইসলাম জয় খতনা করান। এ সময় পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় কিছুক্ষণ পর মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কয়েক দফায় চেষ্টার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে তামিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পর আরও এক ঘণ্টা শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মা রোকসানা পারভীন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রক্তক্ষরণ কিছুটা বন্ধ হলেও শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এখনো শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :